প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:২১ পিএম
উত্তরা থেকে যেসব যাত্রী মতিঝিল কিংবা আশপাশের কর্মরত তারা আজ আনন্দে উৎফুল্ল। যাতায়াতের বিশাল এই আয়োজনে তারা খুশি। কারন তারা যানজট থেকে মুক্ত থাকবে। সময় বাচবে, অল্প সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারবে এই স্বপ্নই তারা দেখছেন। শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশই নয়, এর আশপাশের বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য আশীর্বাদ। বৈদ্যুতিক মেট্রোরেল দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন ছিল কর্মজীবীদের। আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর থেকে সবার জন্য মেট্রোরেলের দরজা খুলে যাবে। এতে মেট্রোরেলের গতি সাশ্রয় করবে, জীবনের মহামূল্যবান সময়।
কারণ এতদিন মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পরে থাকতো অফিসগামী গাড়ি, স্কুলবাস কিংবা অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন। স্বপ্ন ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা এ রুট ব্যবহারকারী কর্মজীবীদের মনে যেমন আশার সঞ্চার করেছে, ঠিক তেমনি গতিময় শিক্ষাজীবনের স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষার্থীরাও। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বহু স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মেট্রোরেলকে দেখছেন আশীর্বাদ হিসেবেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একের পর এক আধুনিকায়নের প্রভাব শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে দেখতে রাজি নন শিক্ষকরা।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন বলেন, এর সূদরপ্রসারী প্রভাব পড়বে শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। এমআরটি লাইন সিক্সের মাধ্যমে আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নটি স্টেশনে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।
এনএমএম/এএল