প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২২, ০১:২৫ এএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও বিভিন্ন জেলায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীকে আগামী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার সরকার মুন্না, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরাফত আলী সপু, যুবদল নেতা গোলাম মওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদল নেতা এনামুল হক, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা রোববার
আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আব্দুল জাব্বার ভূ্ঁইয়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শাহ নাভিলা কাশফী প্রমুখ।
আইনজীবীরা জানান, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক মামলায় এবং ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলার নাশকতার মামলায় হাইকোর্টের দুই পৃথক বেঞ্চ বিএনপির এক হাজার নেতাকর্মীকে আজ আগাম জামিন দিয়েছেন। ঢাকা, বরিশাল, নরসিংদী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও পিরোজপুরে দায়ের করা মামলায় এসব নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন। ৬ সপ্তাহ পর তাদের নিজ নিজ জেলার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ৫৩০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়।
এসএ/