• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সংসদের কোনো ক্ষতি হবে না : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২, ১০:১০ পিএম

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সংসদের কোনো ক্ষতি হবে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে সংসদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‍‍`এতে ক্ষতি হবে তাদেরই। সংসদে কথা বলার সুযোগ হারাবেন তারা।‍‍`
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের পদত্যাগ চাইতে গিয়ে বিএনপির এমপিরা নিজেরাই পদত্যাগ করেছেন। আমাদের কোনো চাপ নেই। আমরা সব সময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। সুতরাং জনগণ যদি চাপ না দেয় আমাদের কোনো চাপ নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো বিদেশি শক্তি দেশের ক্ষমতায় বসায়নি। কোনও বিদেশি শক্তি এ দেশের ক্ষমতার পালাবদল করতে পারে না। জনগণই দেশের ক্ষমতার মালিক। আমরা জনগণের শক্তিতেই বলিয়ান।

বিদেশি কিছু শক্তি দেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে- এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশিদের নানা ধরনের বক্তৃতা-বিবৃতি, বিএনপি তো বিদেশিদের কাছে গিয়ে বার বার ধরনা দেয়। আবার বিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এ প্রেক্ষিতে মাঝে মাঝে ছোটখাটো বিবৃতি প্রকাশ পায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের উত্তরকে বিবৃতি বলে চালিয়ে দেয়া আসলে সঠিক নয়।  

ড. হাছান বলেন, এগুলো আসলে দেশবিরোধী অপতৎপরতার অংশ। তবে কূটনীতিকদের অবশ্যই জেনেভা কনভেনশনের নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত। একই সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক মতপার্থক্য, প্রতিযোগিতা- এসব বিষয় অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া অনুচিত।

আরও পড়ুন : সংসদের পাঁচ আসন শূন্য, বাকী দুইজনের সিদ্ধান্ত পরে

বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায় সে ক্ষেত্রে আপনাদের করণীয় কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন এক বছর পরে। সে বিষয়ে বলার সময় আসেনি। তবে বিএনপি যে নিজের কথায় ঠিক থাকে না সেটি প্রমাণ হয়েছে। নয়াপল্টনের বাইরে যাবে না, তারা তো আরও অনেক কথা বলেছিল।

মন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা গোলাপবাগ মাঠে বা গরুর হাটের মাঠে গিয়েছে। সুতরাং বিএনপি যেটাই বলুক নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে এটি তাদের জন্য আত্মহনন বলে গণ্য হবে।

এআরআই/এএল

আর্কাইভ