
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২১, ০৬:০৮ পিএম
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত সারা
বিশ্ব। এর সংক্রমণ থেকে
কোনোভাবেই মুক্তি মিলছে না। মানুষের পাশাপাশি
প্রাণিকুলেও হানা দিয়েছে এই
ভাইরাস। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় নানা প্রাণী মারা
যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা ও বিভিন্ন সাফারি
পার্কে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে
জানা গেছে।
এ
বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল
লতীফ সিটি নিউজকে জানান,
করোনা শুরুর পর থেকেই চিড়িয়াখানায়
দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
যেসব প্রাণী সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
তিনি
বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে প্রাণী আক্রান্ত
হওয়ার পর থেকেই চিড়িয়াখানার
সবাইকে সতর্ক রাখা হয়েছে। সকল
তত্ত্বাবধায়ককে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করানো, খাদ্য ও পানীয় পরিবেশনের
আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা, প্রটেকটিভ মেজার নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ
ছাড়াও প্রতিদিন প্রাণীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। দুই
বেলা শেড পরিষ্কার করা,
জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আব্দুল
লতীফ বলেন, চিড়িয়াখানার সব ডাক্তার, প্রাণী
তত্ত্বাবধায়ক, ভ্যাটেরিনারি সার্জনসহ সবার ছুটি বাতিল
করে শিফটিং করে দেয়া হয়েছে।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ
পশু হাসপাতাল। যাতে কোনো প্রাণী
অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক আইসোলেশনের
মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া যায়। পাশাপাশি
কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালও প্রস্তুত
রাখা হয়েছে। এ সময়ে সব
প্রাণীর খাবারে পুষ্টিকর ও ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি দেয়া হচ্ছে।
গাজীপুর
সাফারি পার্কের পরামর্শক ও ঢাকা চিড়িয়াখানার
সাবেক কিউরেটর ডা. এ বি
এম শহিদুল্লাহ সিটি নিউজকে জানান,
করোনাভাইরাস মানুষ থেকে প্রাণিদেহে সংক্রমিত
হয়ে থাকে। এ জন্য সাফারি
পার্কেও বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে
প্রাণীদের চলাচল চিড়িয়াখানা থেকে কিছুটা আলাদা।
প্রাণীরা খোলা জায়গায় বিচরণ
করতে পছন্দ করে। তারপরও যারা
এখানে কাজ করেন তাদের
রাখা হয়েছে নজরদারিতে। ইতোমধ্যে সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
তরিকুল/নূর/এম. জামান