প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২, ০২:৪৩ এএম
বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা শহর, শহরতলী এবং আন্তঃজেলা রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সভাকক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বাস চলাচল কেমন হবে এ বিষয়ে এক জরুরি সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তবে বাস মালিকরা ওইদিন রাজধানীতে বাস চলাচল সীমিত করার দাবি জানিয়েছিল।
বৈঠকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন কোম্পানির বাস মালিকরা বলেন, এর আগে বিএনপি-জামায়াত নেতারা সড়কে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিল। ওই আন্দোলনে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ এখনো আমাদের টানতে হয়। আমরা চাই না পুনরায় সেই ঘটনাগুলো সাধারণ বাস মালিকদের সঙ্গে আবারও ঘটুক। আমরা আগামী ১০ তারিখ প্রতিটি বাস টার্মিনালে পাহারা বসাবো। সব ধরনের আপত্তিকর ঘটনা আমরা রুখে দেবো।
তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, নগরবাসী বর্তমানে আতঙ্কিত। আজকে সকাল থেকে আমরা বাসে যাত্রী পাচ্ছিলাম না। এত যাত্রী কম থাকলে আমাদের সারাদিনের বাস চালিয়ে তেলের টাকা উঠে আসবে না। এমন চলতে থাকলে আমরা ওইদিন বাস চালাতে চাই না। রাস্তায় পার্কিং করে রাখা সবকটি বাসের জন্য আমরা পাহারা বসাবো।
তবে এ কথার বিরোধিতা করে খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘যাত্রী থাকুক আর না থাকুক, গাড়ি চলবে। যদি গাড়িতে কেউ আগুন দেয় তবে তাদের প্রতিহত করা হবে। আর এর দায়িত্ব নেবে মালিক সমিতি।’
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘রাতে সব গাড়িগুলো একসঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি আপনাদের। সেখানে আপনারা রাত-দিন পাহারার ব্যবস্থা করবেন। যাত্রী নাই বলে রাস্তা থেকে গাড়ি বন্ধ করে দেয়া যাবে না। আমি আপনাদের ওইদিন গাড়ি সচল রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র
সবশেষে সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ আবারও বলেন, ‘১০ তারিখ গাড়ি চলবে। সব বাস টার্মিনালে সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে। অনেক সময় টার্মিনালগুলোতে শ্রমিকরা থাকলেও মালিকরা থাকেন না। সেটি এবার আর হতে দেয়া যাবে না। প্রতিটি টার্মিনালে মালিক শ্রমিকের ক্ষমতা থাকতে হবে। প্রয়োজনে আরও লোক জোগাড় করে ওইদিন টার্মিনালগুলোতে পাহারা দিতে হবে। বাস অন রোড অবশ্যই রাখতে হবে।’
এ ছাড়া ১০ তারিখে গাড়ি চলাচল যাতে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সভায় সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাস টার্মিনাল, গুলিস্তান টিবিসি রোড ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের মালিক শ্রমিক নেতাসহ ঢাকার সব পরিবহনের প্রায় শতাধিক মালিক ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/এএল