প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৯:৫০ পিএম
অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়েছিল গাইবান্ধা- ৫ আসনের উপনির্বাচন। এবার ভোট গ্রহনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ৪ জানুয়ারি ওই আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) কমিশন বৈঠকে ভোটের এই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে ইভিএম। আগের মতো এবারও ভোটে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। সভা শেষে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা- ৫ আসনে উপনির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।
ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন।
এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তদন্ত কমিটি করে আউয়াল কমিশন।
গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১২ অক্টোবর তারিখে গাইবান্ধার যে ভোটটি স্থগিত করা হয়েছিল সেটি আগামী জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ বুধবার ভোট হবে। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ হবে।`
তিনি আরও বলেন, `তদন্ত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে এ ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। সিসি ক্যামেরা থাকবে। আগে যেভাবে ভোট হয়েছে সেভাবেই হবে।
এ ভোটে এজেন্ট কারা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিইসি স্যার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। যারা এজেন্ট ছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বস্তার মধ্যে যে তালিকা আছে ওগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উন্মুক্ত করবে, তাতে যারা দায়িত্ব পালন করতে না পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভোটে প্রার্থীরা প্রচার- প্রচারণা করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এগুলো অবশ্যই থাকবে। নির্বাচনে যেহেতু আংশিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সমস্ত কার্যক্রম বিধি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে।’
ঠিক কবে প্রচারণা করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মেদ বলেন, তারিখ ঘোষণার পরপরই প্রচারণায় কোনও বাধা নেই। কাল থেকেই পারবে।
পরে ইসি সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা নির্বাচন ঘোষণার তারিখ ঘোষণা দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা আমাদের বিধান অনুযায়ী শুরু করতে পারবে।’
এআরআই