প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন কমিটি হবে।
দীর্ঘ চার বছর পর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম এ জাতীয় সম্মেলন। সংগঠনের শীর্ষ দুই পদে নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রার্থী রয়েছেন তিন শতাধিক। পদের জন্য লবিং-তদবিরে ব্যস্ত পদপ্রত্যাশীরা। তবে নেতা চূড়ান্ত করবেন সংগঠনের অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিটি বাণিজ্য ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠেছে জয়-লেখকের বিরুদ্ধেও। কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলনের দাবি উঠলেও মহামারি করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ছাত্রলীগ হবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে ছিল এমন নেতৃত্ব বেছে নেবেন সংগঠনটির প্রধান, বলছেন পদপ্রত্যাশীরা।
এদিকে বরাবরই দেখা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বেশির ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচন করা হয়। এবারের সম্মেলনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ ছাত্রনেতাদের।
সুনির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়, মেধা, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাই মুখ্য বিষয় হবে বলে জানান নীতি নির্ধারক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন।
কিউ/এএল