প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৬:৫৬ এএম
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই রাজধানীজুড়ে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এসব অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেফতার করা।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, সরকারবিরোধী বিভিন্ন অপশক্তি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। তারা যে কোনো সময় বড় ধরণের নাশকতাও করতে পারে। এই নাশকতার চেষ্টায় জড়িতরা বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন।
গোয়েন্দারা জানান, নাশকতাকারীরা দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করে আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আসতে চায়।তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর যে সমাবেশ রয়েছে তার আগে বা পরে যে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা করতে পারে দলটির নেতা-কর্মীরা। নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে জানমালের ক্ষতি করতে পারে। তারা আগেও এ রকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, বিএনপিকে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার সুযোগ দেয়া হবে না। তাই দেশে যাতে কোনো প্রকারের নাশকতা না হয় সে জন্য কঠোর হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। ব্লক রেইড চালানো হয়েছে রাজধানীর বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও মেসে। আটক করা গত শতাধিক সন্দেহভাজনকে।
একইসঙ্গে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সকল নেতা-কর্মীরা নাশকতার চক এঁকেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে আইনশঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টিকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা। তারা বলছেন, ওবায়দুল কাদের যে বলেছিলেন - খেলা হবে। তিনি সেই খেলা মানে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের জন্য প্রশাসন স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানকে। তবে বিএনপি চাচ্ছে নয়াপল্টনেই হোক সমাবেশ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীজুড়ে পুলিশের যে বিশেষ অভিযান চলছে সে বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশক্রমে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার পর থেকে রাজধানীতে ব্লক রেইড শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দফতরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশে বলা হয়, ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে পুলিশ। সব ইউনিট প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরের ২৯ নভেম্বরের আদেশে বলা হয়েছিল- ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আদেশ অনুযায়ী আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে এমন স্থানে ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান করবে পুলিশ। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।
এআরআই