প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৪:৪৬ এএম
রাজধানীর অদূরে কাউন্দিয়া এলাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, চেয়ারম্যান লাঠিয়াল বাহিনী তৈরী করে স্থানীয় লোকজনের জমি দখল করছেন। এর প্রতিকার চান তারা।
থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রত দাস বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে তার তদন্ত করছি। তদন্তে যারা দোষী প্রমানিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আব্দুল বাতেন নিজ বাড়ি কাউন্দিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আত্নীয়স্বজন নিয়ে বসবাস করেন। কাউকে কিছু না বলে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ তার সহযোগী হেলাল, ইসমাইল, আফাজ, নাদিম ও জাহাঙ্গীর বাড়ির মাপা শুরু করেন। এতে তিনি বাধাও তেন। কিন্তু কারও কোন কথা তারা শোনেনা। এক পর্যায়ে তারা সাদাকাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষরও নেয়। পরে গত ২৩ নভেম্বর তারা আরো লোকজন নিয়ে এসে সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে ফেলে। এতে তারা বাধা দিলে মারধরও করে। এক পর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মিও করে।
ভুক্তভোগী আব্দুল বাতেন বলেন, আমরা যুগের পর যুগ এইস্থানে বসবাস করে আসছি। কখনই কেউ কোন কথা বললো না অথচ চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা হটাৎ করেই তারা আমাদের বাড়িঘর দখল করে আমাদের উচ্ছেদ করতে চায়।
তিনি বলেন, আমি সুষ্ঠ বিচারের জন্য শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
একই অভিযোগ করেন আরেক ভুক্তভোগী হাজি শামিম। তিনি বলেন, তামান্না পার্কের একটু অদূরে আমার নিজস্ব সম্পত্তি। আমি সেখানে সাইনবোর্ডও টাঙ্গিয়ে রাখি। সাইফুল চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রাতারাতি সাইনবোর্ড খুলে তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এটি নিয়ে আমি থানা, স্থানীয় এমপির কাছে অভিযোগ দেই। পরে তাকে ডাকলেও সে নানা টালবাহনা করতে। এখন পর্যন্ত আমি আমার পুরো জায়গা বুঝে পাইনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা অনেক বেপরোয়া। লোকজনের ভালো ভালো জায়গা তারা রাতের আধারে দখল করে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খানের সঙ্গে যোগাযেগ করা হলে তিনি এ সকল ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেন।
আইএ/