প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০১:০৬ এএম
পল্লবীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলাম আশিক ১০টি হত্যাসহ ১৬/১৭টি মামলার আসামী। দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজী, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ একাধিক ব্যক্তির বাড়ি-প্লট দখল করেছে। তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও তার বিরুদ্ধ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবু জাফর শিকদার, সাহেদ হোসেন মনা, জাহানারা বেগম, তারেক হোসেন বাদল, এমরান হোসেনসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ২০১৬ সালে আশিক জাহানারা বেগমের ১২/ডি, ১৮/১০ নম্বর বাড়ির নিচতলার দোকানটি ৩ মাসের কথা বলে জোরপূর্বক ভাড়া নেয়। দোকানটি ছেড়ে দিতে বললে আশিক পিস্তল বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পুরো বাড়ি দখলের ভয় দেখায়। ওই দোকনে বখাটে ছেলেদের গভির রাত পর্যন্ত আড্ডা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় ইট,বালু-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবু জাফর শিকদারকে প্রতি গাড়িতে ৫’শ টাকা করে চাঁদা দিতে বলে। না দেয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ১২/সি, ১৭ নম্বর রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেনের স্বর্ণের দোকানটি দখল করে নেয়। বিগত ২০১৬/১৭ সালে সাহেদ হোসেন মনাকে স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে তাকে রাখার জন্য এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তাকে কমিটির বাইরে রাখা হয়। ভুক্তভোগী মীর আলাউদ্দিন বাপ্পীর মা সেতারা বেগমের ১২/সি, ২১/১৪ নম্বর বাড়িটি জোড়পূর্বক লিখে নেয়। তার ১২/সি, ২১/১৩ নম্বর বাড়ি জোড়পূর্বক দখল করতে প্রতারণামূলকভাবে বাপ্পীর মাকে দিয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করায়। আদালত তদন্ত সাপেক্ষে বাপ্পীর পক্ষে রায় দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। স্থানীয় মুসলিমবাজারের মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি জাল-জালিয়াতি করে দখলে নিয়ে সেখানে আশিক শপিং মার্কেট বানিয়েছে।
এদিকে, গত ২০১৫ সালের মার্চ মাসে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় তার বিরুদ্ধে হওয়া হত্যাসহ ৭টি মামলার কথা স্বীকার করলেও আরো ১১/১২টি মামলার তথ্য এড়িয়ে যায়। ট্যাক্সপেপার জাল-জালিয়াতি করে লাইসেন্স করা পিস্তল ও শর্টগান দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও বাড়ি দখল করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য দপ্তরে প্রমাণপত্রসহ অভিযোগ দিয়েছেন। বিগত ১৪ বছর আগেও আশিকের কিছুই ছিলো না, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর সে বাড়ি-গাড়ি ও কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এমন লোককে দল থেকে বহিষ্কার করে দলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সত্য নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন প্রতিপক্ষ।