প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৯:০৪ পিএম
যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হয়েছে। করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রথমবারের মতো সশরীরে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এদিকে, যশোরসহ আশপাশেরে জেলা থেকে জনস্রোত এখন যশোর স্টেডিয়ামমুখী।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার আগেই কানায় কানায় ভর্তি হয়েছে জনসভাস্থল। এখনো দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে মানুষ জনসভাস্থলের দিকে ছুটছে আসছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে জনসভাস্থল। একইসঙ্গে চলছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্য প্রদান। আগামী সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে কি বার্তা দেবেন, সেটা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নেতা কর্মীরাসহ দেশবাসী। বেলা ২টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল ৮টার পর থেকে মানুষ জনসভাস্থলমুখী হতে শুরু করে। তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর।
প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদা গেঞ্জি ও লাল-সবুজ টুপি পরে পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা এবং লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে নারী কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করতে করতে আসছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভায় আসছেন। এই জনসভা সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সভাস্থলে প্রবেশের জন্য ১০টি প্রবেশদ্বার খোলা হয়েছে। সভায় আগতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে।’ এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসমাবেশ ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন।
জনসভাস্থলে পাঁচ স্তর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সকালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। গোটা যশোর জেলার ৮ উপজেলা গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে চৌকস অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দেয়ার ৫০ বছর পর সেই যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
এসএই/এএল