• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আড়ালে হুন্ডি চক্র, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:০৫ এএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আড়ালে হুন্ডি চক্র, গ্রেপ্তার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর এজেন্ট ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত সোমবার এবং মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অভিযানে ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফ্রিডম নেট ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী মীর মো. কামরুল হাসান শিশির (২৮), ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ ম্যানেজার খোরশেদ আলম (৩৪), বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসারদের (ডিএসও) কাজী শাহ নেওয়াজ (৪৬), বিকাশ এজেন্ট মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৪), বিকাশ এজেন্ট মো. আজিজুল হক তালুকদার (৪২) এবং বিকাশ এজেন্ট সহযোগী মো. নিজাম উদ্দিন (৩৫)।

তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিমকার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং ১টি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, গ্রেফতারকৃত চক্র হুন্ডি ব্যবসা করে এবং অবৈধভাবে হুন্ডির মাধমে বিদেশে অর্থপাচার ও বিদেশে অবস্থানরত ওয়েজ আর্নারদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যমে অর্থ পাচার করে আসছে। এ কাজে অপরাধীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করে থাকে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে, দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদেরকে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তার সহযোগীরা দেশীয় মুদ্রায় উক্ত অর্থ এমএফএস এর এজেন্টকে প্রদান করে। তৃতীয় গ্রুপ তথা এমএফএস এর এজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারীর নিকট হতে প্রাপ্ত এমএফএস নম্বরে দেশীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করে।

সিআইডি জানায়, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এর মালিকানাধীন কুমিল্লার লাকসামে অবস্থিত বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্ট সিম এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিম নিয়ে কাজ করে যার মাধ্যমে গত ৬ মাসে আনুমানিক তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায়। এই দুইটি সিম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এমন আরও ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পায় সিআইডি। যেগুলোর মাধ্যমে এরকম সন্দেহজনক তথা ডিজিটাল হুন্ডির লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

এমএফএস এর এজেন্টদের সহযোগিতায় চক্রের সদস্যরা বিদেশে স্থায়ী সম্পদ অর্জনসহ অনলাইন জুয়া, ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়, মাদক কেনাবেচা, স্বর্ণ চোরাচালান, ইয়াবা ব্যবসাসহ প্রচুর অবৈধ ব্যবসাও পরিচালনা করছে বলে জানায় সিআইডি।

আইএ/

আর্কাইভ