• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সশস্ত্র জিহাদের জন্য তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতো রাফাত- সিটিটিসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ১১:০৪ পিএম

সশস্ত্র জিহাদের জন্য তরুনদের উদ্বুদ্ধ করতো রাফাত- সিটিটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে ও সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয় ডা. রাফাতসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের নাম- ডা. রাফাত  ও আরিফ ।

গত বুধবার ( ৯ নভেম্বর ) সিলেট জালালাবাদ থানার রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে ও সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর ) দুপুরে  ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত মঙ্গলবার  (১ নভেম্বর ) সিটিটিসি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হিজরতকারী ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি রুজু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় তারা প্রত্যেকেই ডা. রাফাত এর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়।

তিনি আরো বলেন,  গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত ধর্মভীরু তরুণদের জিহাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত জানায় ২০২১ সালের জুন মাসে তার ও অপর সহযোগী তাহিয়াতের নেতৃত্বে সিলেট এলাকা থেকে ১১ জন বান্দরবানে হিজরত করে। হিজরতকালীন সময়ে বান্দরবানে গিয়ে জঙ্গি সংগঠনের অন্যান্য নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় ০৭ দিন পরে তারা সিলেট ফিরে দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সর্ম্পকে তিনি বলেন,  গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত ও তার অন্যান্য সহযোগীরা তরুণদের দূর্গম পাহাড়ে নিয়ে হিজরতের নামে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃতরা  ডা. রাফাত ও তাহিয়াত কর্তৃক সশস্ত্র জিহাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। ডা. রাফাত এবং তার সহযোগীরা পুনরায় মসজিদে এবং লেকের পাড়ে বসে জিহাদ সম্পর্কিত আলোচনা অব্যাহত রাখে।

তিনি আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে ডা. রাফাতের নির্দেশনায় তাহিয়াত সহযোগীসহ ঢাকায় হিজরত করার উদ্দেশ্যে বের হয় সিটিটিসি কর্তৃক গ্রেফতার হয়। ডা. রাফাত কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে উগ্রবাদী বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু তরুণদের জঙ্গিবাদের দীক্ষা দেয়। এ সংগঠনের কয়েকজন সদস্যকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং পরবর্তীতে উক্ত বোমার শক্তিমত্তা পরীক্ষা করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

আইএ/

আর্কাইভ