• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রিমান্ড শেষে কারাগারে কাজী এরতেজা হাসান

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ১০:১৪ পিএম

রিমান্ড শেষে কারাগারে কাজী এরতেজা হাসান

আদালত প্রতিবেদক

দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়।

এক দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) কাজী এরতেজাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জালিয়াতিতে ড. এরতেজার সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। মঙ্গলবার গুলশানের অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ের একটি দল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির জন্য দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটি প্রজেক্টে ৫ বিঘা জমি কেনার জন্য একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ৩০ কোটি টাকা দেয় নর্দার্ন কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা পরিশোধ না করেই আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সই জাল করে জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। জমির মূল্য দেখানো হয় মাত্র ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

জালিয়াতির এ মামলায় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলমকে এর আগে গ্রেফতার করে পিবিআই।

এআরআই

আর্কাইভ