প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ১১:১৫ পিএম
মশা মারার জন্য বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মশা মারার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব ওষুধ অনুমোদন দেয়, সে ওষুধগুলোই প্রথম থেকে আমদানি করা হচ্ছে। যাতে করে মানুষের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না হয়।’
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা তদারকি ও হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী তাজুল বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল ও সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এমন কোনো পোকামাকড় মারার ওষুধ বাতাসে ছিটানো যাবে না, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এতে মশা হয়তো মরে যাবে কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। সেসব দিক বিবেচনা করে সিটি করপোরেশনকে আমরা সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করে দিয়েছি।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলোর প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করা হচ্ছে। সেখানে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা কঠিন কাজ। সেক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশেপাশে ও বাসার ছাদ বাগানে স্বচ্ছ পানি জমে মশার জন্ম হয়। মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য সেসব জায়গা নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এতে মশার বিস্তার অনেকাংশেই কমে আসবে। আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে ডেঙ্গু মোকাবিলা সহজ করতে। সবাই মিলে সচেতন না হলে, উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন।’
মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলে শফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআরআই