প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৬:০১ এএম
ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। এই কারাগারে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যার শিকার হয়েছিলেন জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে হত্যার শিকার হন। এরপর তার বিশ্বস্ত চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘাতক চক্র আজকের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই সময়ের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তার নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করে। প্রথমে গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ওই মামলার রায় ঘোষণা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেয়া হয়। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।
তাঁদের স্মরণে প্রতি বছর দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। শহীদ চার নেতার স্মরণে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথকভাবে বাণী দিয়েছেন।
এসএই