• ঢাকা বুধবার
    ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশে হয়ে গেল হ্যাকিং যুদ্ধ প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৯:১১ পিএম

বাংলাদেশে হয়ে গেল হ্যাকিং যুদ্ধ প্রতিযোগিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগের যুগে হতো মল্লযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে একজন অপরজনকে বাহুবল ও কৌশল দিয়ে পরাজিত করতো। এখন সাইবার যুদ্ধকে সেই যুদ্ধেরে সঙ্গে তুলনা করা যেতেই পারে। এসব সাইবার যোদ্ধারা কামান-জোমান গোলাবারুদ এমনকি বাহুবল ছাড়াই বদলে নিচ্ছে বড়বড় শক্তিধর দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা। কোথাও আবার হামলা করে লুটে নিয়ে যাচ্ছে সেই দেশের সঞ্চিত টাকা পয়সা। 

সম্পদশালী দেশগুলো তাদের নিরাপত্তার জন্য সামরিক ব্যবস্থার চেয়েও সাইবার ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যার ফলে সরকারি-বেসরকারি ও স্ব উদ্যোগে দেশে দেশে গড়ে উঠেছে সাইবার যোদ্ধা। লোকচক্ষুর আড়ালে বসে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়াচ্ছে। এই বিদ্যায় বাংলাদেশের যোদ্ধারাও পিছিয়ে নেই।

তাদের দক্ষতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে মাত্র কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধাদের একটি প্রতিযোগিতা হয়েছে।

ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি’) এক ছাত্রী জানিয়েছেন, সিটিএফ কমিউনিটি বাংলাদেশের আয়োজনে জনপ্রিয়িএই হ্যাকিং প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিটিএফ কমিউনিটি বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে Capture The flag প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ক্যাপচার দ্যা ফ্ল্যাগ বা সিটিএফ বিশ্বজগতে একটি জনপ্রিয় হ্যাকিং প্রতিযোগিতা।

বসুন্ধরার ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি’) স্থায়ী ক্যাম্পাসে গত শনিবার এই সাইবার যুদ্ধ প্রতিযোগিতা হয়। এতে প্রতিযোগীদের ওয়েব এক্সপ্লয়টেশন, ডিজিটাল ফরেনসিক, ক্রিপ্টো কারেন্সি, স্টেগনোগ্রাফি ও রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে নিজেদের বাস্তবিক প্রকৌশল সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয়েছে।

সফটওয়্যার বা ডিজিটাল দুনিয়ার ত্রুটি খুঁজে দেয়ার লড়াইয়ে ‘ফ্ল্যাগ হান্ট’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) দল জেনেসিস।

অফলাইনে আয়োজিত সাইবার সুরক্ষা প্রতিযোগিতার বাঁধা সময়ে ২৬০০টি ‘পয়েন্ট’ পেয়ে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যলয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই দলের অপর সদস্যরা হলেন- শান্তনু রহমান, সুমিত আলম খান ও আব্দুল্লাহিল কাফি।

চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়া ২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই ব্যাটেল অব হ্যাকার্স-এ প্রথম রানার্স আপ হয়েছে ‘বঙ্ক পুলিশ’। একধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পুড়ুয়া সাইবার যোদ্ধারের সমন্বয়ে গঠিত এই দলের সদস্য বিজিজি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শেখ আলী আকবর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী আশিকুর রহমান ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মোঃ গোলাম রাব্বি মিলে উদ্ধার করেন ২০৮০টি ফ্ল্যাগ। আর ১৮৮০টি ফ্ল্যাগ খুঁজে দিয়ে দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি এন্থুসিয়ান্ট। ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশের (ইউটিটিএ) তিন শিক্ষার্থীর এই সাইবার আর্মিরা হলেন এন এম আতিকুর রকহাম, ইশতিয়াক উদ্দিন চৌধুরী এবং মো. রেজওয়ান।

৬ ঘণ্টা ধরে চলমান এই সাইবার সক্ষমতা যাচাই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) উপচার্য ড. তানভীর হাসান । সিটিএফ কমিউনিটি বাংলাদেশের আমির হামজা, তাসদির আহমেদ, রাসেল আহমেদ, মুহাম্মদ আরমান হোসেন অন্তু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এবি/এআরআই/এএল

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ