প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাতক্ষীরায় ইতোমধ্য দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সরাসরি সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানবে না। তবে উপকূলীয় জনপদের নদীতে পানির উচ্চতা বাড়বে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সোমবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বদলে গেছে আকাশ। ভারি মেঘ সাতসকালেই বদলে গেছে; নিমেষে নেমে এসেছে রাতের অন্ধকার!
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া চলছে। এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। একই সঙ্গে সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ২৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের উপকূলে পৌঁছাবে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিমুখ সরাসরি বরিশালের দিকে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিত্রাং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিমি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিমি. দক্ষিণ-
দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘৃর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি.। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি. পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এআরআই