প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১২:২৫ এএম
বিচারের মুখোমুখি করা ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে রিতীমত কারিশমা দেখাচ্ছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে।
তিনি গত ১২ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায়, ৫১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ লাখ টাকা জব্দ করেন। এ সময় আটজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। যাদের মধ্যে ৬ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়েছেন।
এছাড়া গত ২১ অক্টোবর অন্য একটি অপহরণ মামলায় সাফল্য দেখিয়েছেন। এ মামলায় মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে দুই বছরের শিশু তানজিয়াকে উদ্ধার করেন এবং তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনায় অলক কুমার দে কেরানীগন্ঞ্জে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ মোবাইল উদ্ধার করেছেন। তার কাছে আসা প্রতিটি মামলা ও জিডির ব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অত্যন্ত সদালাপী ও পরোপকারী পুলিশ অফিসার হিসেবে আস্থার, সর্বোচ্চ পরিচয় দেয়ার জন্য তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এসব ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান মিয়া ও পিপিএম (বার) বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে সাব ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চাকরি জীবনের শুরু থেকে তিনি তার কাছে আসা প্রতিটি ভিকটিম ও তাদের স্বজনদেরকে নিজের পরিবারের লোক মনে করে সর্বোচ্চ পেশাদার ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি কাজের ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাফল্যের পিছনে কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবীর বিপিএম ও থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ পিপিএম এর সহযোগিতার কথা স্বীকার করে বলেন, “এ সাফল্য টিম ওয়ার্ক কাজ করে হয়েছে। ক্লুলেজ মামলায় সফলতার ক্ষেত্রে সার্কেল এএসপি শাহাবুদ্দিন কবীরের অনন্য ভূমিকা রয়েছে বলে জানান।”
এসএই