প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০২:৫৯ এএম
ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন আগত মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে চিরুনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফরের উপ-পরিচালক সানজিদা খানম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে চিরুনী অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক সানজিদা খানমের নেতৃত্বে অভিযানকালে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিকট থেকে ব্যাগেজ সুবিধার অতিরিক্ত ব্যাপক পরিমাণে ভারতীয় মালামল উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত মালামালের বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় দুই কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা।
সানজিদা খানম বলেন, জব্দকৃত মালামালগুলোর মধ্যে রয়েছে, শাড়ী ৭৩১ পিস, থ্রি পিস দুই হাজার ২৬৫ পিস, শাল/চাদর ২১০ পিস, শার্ট ১১৪ পিস, টি-শার্ট ৩৫ পিস, ওড়না ২০৬ পিস, ট্রাউজার ১৮১ পিস, আন্ডার গার্মেন্টস ৫৯২ পিস, ওয়ান পিস ৯০ পিস, ব্লেজার ১৫ পিস, পাঞ্জাবি ৩২ পিস, কসমেটিকস ৪০৬ কেজি, জুয়েলারি ইমিটেশন ২১৪ কেজি, ঔষধ ১৬ কেজি, সিগারেট ৭৫ কার্টুন, জর্দা ২১ কেজি, এলকোহল ৪২ বোতল, ট্রিমার ১০ পিস, হাত ঘড়ি ১২ পিস, চকলেট ১০ কেজি, থান কাপড় আট কেজিসহ অন্যান্য পণ্য জব্দ করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভারতের কোলকাতা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাতে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছা মাত্রই পুরো গোয়েন্দা টহল টিমটি সমগ্র ট্রেনটিকে ঘিরে ফেলে। পরবর্তীতে কাস্টমস গোয়েন্দা টহল টিমের সদস্যরা বাংলাদেশ ও ভারতের পাসপোর্টধারী উভয় দেশের সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। যাত্রীরা নেমে গেলে পুরো ট্রেনেও তল্লাশি চালানো হয়।
সূত্র জানায়, এসময় অনেক যাত্রী তাদের প্রাপ্যতার তুলনায় অধিক মালামাল বহন করায় তাদের নিজেদের মালামালকেও অন্যের মালামাল বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে। জব্দকৃত সকল মালামালস ঢাকা কাস্টমস হাউসের নিকট জমা দেয়া হয়েছে।
জেডআই/