প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৪:২৭ এএম
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তিন পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা ঠিকমতো অফিস করেন না। কাজকর্মও করেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা ঠিকমতো অফিস করেন না। কাজকর্মও করেন না। ফেসবুকেও অপপ্রচার চালান। আর এসব অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের আইনানুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে তিন পুলিশ সুপারকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। অবসরে পাঠানো তিন পুলিশ সুপার হলেন পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী। এই তিন কর্মকর্তাকে অবসর দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান বলেন, ‘তাদের সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী অবসর দেয়া হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি চক্রান্ত চলছে। সারা দেশে বিরোধী দল আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যস্ত। এই সময় সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেও সরকারবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা দিচ্ছে কি না সেই নজরদারি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারের সব পর্যায়ে এই নজরদারি চলছে। কয়েক দিন আগে তথ্যসচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। আর এর মধ্যেই আজ তিন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গোয়েন্দারা তথ্য পান, তারা সরকারবিরোধী অপপ্রচারে জড়িত। এ কারণে পুলিশ সদর দফতর থেকে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেই অনুযায়ী তাদের গতকাল বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জেডআই/
