প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৭:১৮ পিএম
সারাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশন। ৫৭টি জেলায় অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পায়নি নির্বাচন কমিশন।
নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকা প্রতিটি কেন্দ্র ইসি কার্যালয়ের মনিটরিং সেল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দুটি জেলা ভোলা ও ফেনীতে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এ ছাড়া জেলা নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, জেলা পরিষদে মোট ৯২ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী ৬০৩ জন আর সাধারণ পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইসি। বিশেষ করে গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনের নানা ঘটনার পর এ নির্বাচন বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইসি। কোনো জেলায় যাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি ভূমিকা রাখতে না পারে, সে জন্য এরই মধ্যেই তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিক নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। ভোটকক্ষের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিতকরণ ও ভোট কক্ষে ভোটারা যাতে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এএস/এএল