প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ১১:২০ পিএম
রাজধানীর ধানমন্ডির শুক্রাবাদে অনলাইনে সেবা নেয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলো—মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ওই দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার এইচএম আজিমুল হক বলেন, ‘পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা ওই বিউটিশিয়ান নারী হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে বাসায় গিয়ে নারীদের বিউটি পার্লারের সেবা দিতেন। পেজে দেয়া নম্বরে গত ১১ অক্টোবর ওই নারীকে ফোন দিয়ে রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দেয়ার কথা বলা হয়।’
তিনি বলেন, ‘পরে ওইদিন রাতেই সাভার থেকে শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সন্ধ্যার পর সেই নারীকে গ্রেফতারকৃত রিয়াদ শুক্রাবাদের বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় রিয়াদ তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু মিলে সেই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে একটি অটোরিকশাতে তুলে দেয় তারা।’
উুল্লেখ্য, ওই বিউটিশিয়ান সাভারে থাকেন। তিনি বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়াল করে দিতেন। তার অনলাইন পেজে দেয়া নাম্বারে গত ১১ অক্টোবর ফোন দেন এক নারী। এ সময় জানানো হয়, শুক্রাবাদ এলাকার এক বাসায় গিয়ে ফেসিয়াল করে দিতে হবে। সে তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে ওই বিউটিশিয়ান শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় রিয়াদ তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিল। সন্ধ্যার পর রিয়াদ শুক্রাবাদে ওই বিউটিশিয়ানকে রিসিভ করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসায় রিয়াদ, তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু ছাড়া কেউ ছিল না। তারা তিনজন মিলে বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সেই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেয় তারা।
জেডআই/