• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ইসি চাইলে যেকোনো জায়গায় বসে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে: সিইসি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ১১:০১ পিএম

ইসি চাইলে যেকোনো জায়গায় বসে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনের ৯১ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে যেকোনো জায়গায় বসে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনের ৯১ ধারায় বলেছে, আমরা যদি মনে করি, কী দিয়ে মনে করলাম, ঢাকায় বসে মনে করব, না কুমিল্লায় বসে করব, না চট্টগ্রামে বসে করব বা আমরা জাহাজে বসে মনে করতে পারি, তা নয়; আমাদের কাছে যদি অনুমিত হয়, নির্বাচনটা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন যেকোনো কেন্দ্রের বা সব কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে।’

ঢাকায় বসে সিসিটিভি দেখে ভোট বন্ধ করে দেয়া কতটা যৌক্তিক— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের সঙ্গে বসে প্রত্যক্ষ করতে পারতেন। অনেকের বক্তব্য শুনেছি, এটা কী করে সম্ভব হলো অফিসে বসে এতগুলো কেন্দ্র দেখা। সিসিটিভি দেখে রাস্তার নিয়ন্ত্রণও বিভিন্ন দেশে করা হয়। সিস্টেমটাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে একটা জায়গায় বসে ২০০, ৪০০ জায়গার ফ্যাক্টস সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। আমরা মনে করি, এটা জুতসই একটা প্রযুক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভ্রান্তিটা এ কারণে হতে পারে, আমি কীভাবে দেখেছি বা আপনারা কীভাবে দেখেছেন। আমি যদি ওদের একজন হতাম, তাহলে আমার কাছে নিশ্চয় এ প্রশ্নই উঠত। কাজেই জিনিসটা পরিষ্কার হওয়া উচিত সবার কাছে যে আমরা দেখেশুনে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং দেখেছি।’

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে নানা অনিয়মের কারণে একের পর এক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ইসি। দুপুর নাগাদ এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে বেলা আড়াইটার দিকে পুরো ভোট গ্রহণই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

গতকাল সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না।’

জেডআই/

আর্কাইভ