• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রেলমন্ত্রী হলে আমি দুই বছরেই করে দেখাবো: মহিউদ্দিন রনি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ১০:০২ পিএম

রেলমন্ত্রী হলে আমি দুই বছরেই করে দেখাবো: মহিউদ্দিন রনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবারও আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন রেলওয়ের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রেলমন্ত্রী ও রেলের মহাপরিচালকের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রেলভবনে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে রনি জানান রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে আমি দুই বছরেই করে দেখাবো

মহিউদ্দিন রনি বলেন, যদি আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এক নভেম্বর থেকে আবারও আন্দোলনে নামবো।

তিনি বলেছেন, আমি সন্তুষ্ট নই। আমি কর্তৃপক্ষকে বলবো, যে কথা আমাকে বারবার বলছেন, এটা জনগণকে বলে দেন। মন্ত্রী মহোদয় নমনীয়ভাবে আমার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, তোমার দাবিগুলো এভাবে না বলে আমাকে সরাসরি এসে বলতে পারতা। কিন্তু আপনারা তো জানেন, রেল ভবনে আমাকে ঢুকতেই দেয়নি। এমন একটা প্রতিকূল অবস্থা তৈরি করেছিল পারলে আমাকে তারা মেরেই ফেলে।

রনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন আমার যে দাবি, সেগুলো ছয় মাস বা এক বছর, দুই বছরেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। আমি বললাম কেন সম্ভব নয়? তাহলে আমাকে কেন সময় দেয়া হলো, দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়া হল? এটা তো আমাকে ঠকানো হয়েছে। আমাকে বলছেন, জনগণকে কেন আপনারা বলছেন না। তখন রেলমন্ত্রী আমাকে বলেন, তুমি আমার চেয়ারে এসে বসো। বললাম আমি যদি আপনার চেয়ারে এসে বসি তাহলে আমি এটা করে দেখাবো। তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।

রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে আপনার কতদিন সময় লাগবে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন দুই বছরেও সম্ভব নয়। কিন্তু আমি দুই বছরেই করে দেখাবো।

এর আগে গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী।

মহিউদ্দিন রনি তার ছয় দফা দাবিতে বলেন, (১) টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে; (২) যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে; (৩) অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা, বিশেষ করে ভিআইপিদের ক্ষেত্রে টিকিট বুক করা বন্ধ করতে হবে; এবং অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; (৪) যাত্রীচাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে; (৫) ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়াতে হবে; এবং (৬) ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

জেডআই/

আর্কাইভ