প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৮:২৮ পিএম
গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে এ সিদ্ধান্ত জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এদিন সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেন সিইসি। তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে নির্বাচন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সঠিকভাবে হচ্ছে না তাই আমরা ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অনেক কঠোর অবস্থানে আছে। নির্বাচনটাকে নির্বাচনের মতোই দেখতে চাই আমরা।’
এই নির্বাচনে ১৪৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকি সব প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জন করেছেন।
সিইসি বলেন, ‘১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনিয়মের কারণের আমাদের এমন করতে হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশ বা আইন ভঙ্গ করে প্রবেশ করতে আমরা সচক্ষে দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।’
সিইসি বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরবর্তীতে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতো পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি, নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’
জেডআই/