প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৬:০৮ পিএম
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ৪৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনাররা। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি সিসিটিভির মাধ্যমে। আমরা এ পর্যন্ত ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ রে দিয়েছি।’
হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন।
কী কারণে স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমরা বলবো না! আমরা অনিয়ম দেখেছি, গুরুতর অনিয়ম সেই জন্য।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন কমিশন। আমরা ভোটটাকে সত্যিকার অর্থে ভোট হিসেবে দেখতে চাই। কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, ওখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সঠিক জনমতের প্রতিফলন হবে না। সে কারণে আমরা ওই সেন্টারগুলোকে বাতিল করে দিয়েছি।’
এর আগে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ ফুলছড়ি সাঘাটা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলার কথা ছিল। তবে ইভিএম মেশিনে জটিলতার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা যায়।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ইভিএমে। ১৪২ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
গত ২২ জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।
জেডআই/এএল