• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

লোডশেডিংয়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, ঘোষণা বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ১২:৩৭ এএম

লোডশেডিংয়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, ঘোষণা বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাড়তে যাচ্ছে বিদ্যুতের দাম। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিদ্যুতের নতুন দামের ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য (গ্যাস) মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি ভর্তুকি তুলে দিয়ে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিইআরসির কাছে। এই প্রস্তাবে বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বিপিডিবি।

এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকবার গণশুনানির পর গত ১৮ মে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জ্বালানি খাতের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার বিদ্যুতের পাইকারি এবং খুচরা দাম একসঙ্গে বাড়ায়। তখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সরবরাহ মূল্য ৫ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও পাইকারি দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ দিকে জ্বালানি সংকটের কথা বলে গত জুলাই থেকে সরকার শিডিউল লোডশেডিং দেয়া শুরু করে। অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হলেও সমস্যা আরও বেড়েছে। এখন দিনে পাঁচ/ছয়বারও বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

যদিও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট হলেও, দৈনিক প্রকৃত উৎপাদন অর্ধেকেরও কম। যেখানে গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৯০১ মেগাওয়াট। আর এই ১৩ বছরের মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল রেকর্ড ১৮ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছিল। অর্থাৎ উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশিই।

জেডআই/

আর্কাইভ