প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০১:৪৩ এএম
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, রবিবার (৯ অক্টোবর)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। এ উপলক্ষে বিকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে এক দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে আসরের নামাজের পর মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল কবির। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি, জনগণের কল্যাণ এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে বিভিন্ন দুর্যোগ, সমস্যা ও প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর রহমত ও সাহায্য প্রার্থনা করা হয়। দোয়ায় মহান আল্লাহর কাছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করা হয়।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নির্মমভাবে নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এর আগে, মিলাদ মাহফিলের পূর্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর তাৎপর্য ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন-কর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান এমপি, রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, এমপি, তিন বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধানগণ, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো: ওয়াহিদুল ইসলাম খান, বঙ্গভবনের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা দোয়া-মাহফিলে অংশ নেন।
জেডআই/