প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০৪:৪৮ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, আমরা যারা সমাজে ডিগ্রিধারী বলে নিজেকে অনেক বড় মনে করি; সেই আমরাই সমাজের সঙ্গে প্রতারণা করি। শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নাট্য সভার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংস্কৃতি না থাকলে সমাজ গড়ে ওঠে না। সমাজের নানা প্রতারণা তুলে ধরেন সংস্কৃতিমনা মানুষগুলোই। বাংলা ভূখণ্ডের নাট্যচর্চার ইতিহাস স্বাধীনতার পর আরও বেগবান হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী প্রতিকূল পরিবেশেও দেশের নাট্যচর্চা থেমে ছিল না।
তিনি বলেন, মানব উন্নয়নে নাট্যের ব্যাপকতা যুগে যুগে যেভাবে মোড় নিয়েছে, প্রথিতযশা তাত্ত্বিক তাদের মতামত ও ধারণায় বিশ্বের নাট্যকলায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে উন্নয়নের প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাদের উন্নয়ন নাট্য সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিষ্ঠিত নাট্য আঙ্গিক সম্পর্কে আলোচনা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সৃজনশীল কর্মে বিশেষ অবদানের জন্য সন্মাননা প্রদান করা হয়। সন্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, অভিনেতা ও নির্মাতা মনোজ সেনগুপ্ত, বরেণ্য অভিনেত্রী ও বাচসাসের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ, নজরুল গবেষক ও বিএডিসি চেয়ারম্যান এফ. এম হায়াতুল্লাহ, কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সচিব হাসানাত লোকমান, কথাশিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন, টিভি ব্যক্তিত্ব রেজাউর রহমান ইজাজ, নাগরিক টিভির অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিনোদন বিভাগ প্রধান আলাউদ্দিন মাজিদ, টরেন্টো ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি. এম সোয়েব, সোনিয়া রহমান, অভিনেত্রী নিঝুম, আঁখি মণি, ছৈয়দ আবু সালেহ্ মো. তোহা, ক্যান্সার চিকিৎসায় অবদানের জন্য আলহাজ্ব ডা. খলিলুর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সফলতায় বিশেষ অবদানের জন্য এম এ আউয়াল, চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আহমেদ শরিফ, আকবর কবির।
নাট্যসভায় সৈয়দ সভাপতিত্ব করেন মার্গুব মোর্শেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহীদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত অভিনেতা আহমেদ শরীফ প্রমুখ।
জেডআই/