প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৫:৫১ এএম
র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অষ্টম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিলেন অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি র্যাবের অষ্টম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুরাতন কর্মস্থলকে বিদায় জানান তিনি।
এ সময় র্যাব সদর দফতরের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অফ অর্নার দেয়া হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে মনোনীত করা হয়। এ প্রেক্ষিতে তিনি র্যাব মহাপরিচালকের দায়িত্বভার শেষ করেন। তিনি আগামীকাল ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত ১৫ এপ্রিল করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এসময় তার দক্ষ নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার ফলে র্যাব অনন্য সফলতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি অপরাধ দূরীকরণে বিভিন্ন সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক পদক্ষেপের কারণে এ বাহিনী দেশের সব মানুষের কাছে ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছে।
অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি র্যাবকে দেশব্যাপী প্রশংসার উঁচু স্থানে বসিয়েছেন। তিনি জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, যা ছিল একটি যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
এছাড়া, কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কিশোর অপরাধ সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন। আভিযানিক কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের লক্ষে তিনি র্যাবের বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন র্যাবে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ তরান্বিত করেন। তিনি ফোর্স ব্যারাক, ফোর্স মেস, হাসপাতাল, ডেন্টাল ইউনিট, জিমনেশিয়াম, অতিথিশালাসহ অসংখ্য উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এছাড়াও র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন ও কোম্পানি পর্যায়ে নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রমও সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
দীর্ঘ দুই বছর পাঁচ মাসের বেশি সময় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এআরআই