• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো তথ্য পায়নি পিবিআই

ফেঁসেই যাচ্ছেন মরিয়ম মান্নান!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম

ফেঁসেই যাচ্ছেন মরিয়ম মান্নান!

খুলনা ব্যুরো

আলোচিত মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম (৫২) নিখোঁজকাণ্ডের জট খুলতে শুরু করেছে। উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ এবং আদালতের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে রহিমা বেগম জানিয়েছিলেন- তাকে চার ব্যক্তি মিলে অপহরণ করেছে। তবে তদন্তে এ ধরনের কোনো তথ্য বা প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আপাত দৃষ্টিতে রহিমা বেগমের দেয়া জবানবন্দি অসত্য বলে মনে হচ্ছে।

এমনটাই জানিয়েছেন পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। 

তিনি বলেছেন, ‘অপহরণ মামলাটি খুব ভালোভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু আমলে নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের সঙ্গে রহিমা বেগমের জবানবন্দির কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। রহিমা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। বরং মনে হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত যে বিরোধ চলছে, সেই বিরোধের সূত্র ধরে তাদেরকে ফাঁসাতেই রহিমা বেগম এমন অভিযোগ করেছেন।’

জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা ও তার সন্তান অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন বলে মনে করছে পিবিআই। এতে করে উল্টো ফেঁসে যেতে পারেন রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা।

এদিকে খুলনা ছেড়ে ঢাকায় যাওয়ার পর সুর পাল্টিয়েছেন রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তিনি বলছেন, ভুল থাকলে সংশোধন করা যাবে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ‘তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় অপহরণ মামলাটি মিথ্যা, তাহলে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা রহিমা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। একই সঙ্গে পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা ও তার সন্তান অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন বলে মনে করছে পিবিআই। এতে করে উল্টো ফেঁসে যেতে পারেন রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা। তবে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জন মুক্তি না-ও পেতে পারেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজবাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা। পরে আর ঘরে ফেরেননি তিনি। অন্যদিকে স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। এ সময় একই দিন রাতে মাকে খুঁজতে আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।

অবশেষে টানা ২৮ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় দিকে রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর পুলিশ সদস্যরা রহিমার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে যে বাড়িতে রহিমা বেগম অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, রহিমা তাদেরকে জানিয়েছেন কয়েক দিন চট্টগ্রাম ও মোকসেদপুরে ছিলেন। এরপর ১৭ আগস্ট রহিমা বেগম তাদের বাড়িতে আসেন।

 

এস

আর্কাইভ