প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কর্মকাণ্ডে কোনও প্রভাব ফেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাব দেশের মানুষের আস্থা ও নির্ভরশীলতার জায়গা করে নিয়েছে। এটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে হতাহত প্রশ্নে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান র্যাবের বিদায়ী ডিজি।
তিনি বলেন, আমার দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে মাদক চোরচালান বন্ধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এই সময়ে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ তা বৈশ্বিক যুদ্ধ। সারা বিশ্বিই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কারাগারে থাকা বন্দিদের মধ্যে মাদক মামলার আসামিই বেশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের সমস্যা একটি সামাজিক সমস্যা। সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। আমার সন্তানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া আমার দায়িত্ব, আমাদের শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলার সুযোগ নেই। আমরা যখনই খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
র্যাব ডিজি বলেন, মাদক অভিযানের সময়ে আমরা আইননুযায়ী দায়িত্ব পালন করি। আইনের বাইরে বিন্দুমাত্র কোনও কিছু প্রয়োগ করি না। প্রচলিত আইন অনুযায় ব্যবস্থা নিই।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন সেই দায়িত্ব যেন আমি যথাযথভাবে পালন করতে পারি। আমি র্যাব ডিজি হিসেবে বৈশ্বিক মহামারির সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। করোনা আক্রান্ত র্যাব সদস্যদের জন্য ডাটাবেজ, অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য করোনা আক্রান্ত হলেও আমরা মনোবল হারাইনি। করোনায় মানবিকতার চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। এ সময় র্যাব সদস্যরা করোনা আক্রান্ত মানুষদের সেবায় এগিয়ে গিয়েছেন। র্যাবের হেলিকপ্টারে দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে ঢাকায় এনে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।
র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলা ছিল মূল চ্যালেঞ্জ।
স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে যারা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনার কিট জালিয়াত ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিমকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি উল্লেখ করে র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক বলেন, করোনাকালে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ছিল। সুপথে ফিরে আসা জঙ্গিদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সুন্দরবনকে দস্যমুক্ত করা হয়েছে।
জেডআই/