• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

নিয়ন্ত্রণেই আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৬:২৭ পিএম

নিয়ন্ত্রণেই আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের বাজার। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এতে সমস্যায় পড়েছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে চিনি, মুরগি ও সবজির দাম। তবে কিছু পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বাজারে ভির জমায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পুরো সপ্তাহের বাজার করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু বাজারে গিয়ে হতাশ হন ক্রেতারা।

এ সপ্তাহে বেড়েছে সবজির দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা  ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।  

রামপুরা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলী বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকা সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।  

সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং শুকনা মরিচের ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯৫ টাকায়, প্যাকেট চিনি ১০০ টাকায় এবং লাল চিনি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।

মুরগি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা বলছেন মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম বেড়েছে।
মুরগির উৎপাদন থাকলেও খাবারের অজুহাতে দাম বাড়তি।

আগের বাড়তি দামের সঙ্গে আবারও কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়েছে চিকন ও মাঝারি আকারের চালে। সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরও দুই টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সরু চাল কিনতে হচ্ছে ৭৪ থেকে ৭৫ টাকায়। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে মাঝারি আকারের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০ টাকায়।

প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা, যা সাতদিন আগে ছিল ৫২ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা।

জেডআই/

আর্কাইভ