• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

‘সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৯:০৭ এএম

‘সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে’

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ (ফাইল ছবি)

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সুন্দরবনের খালগুলোতে বিষ, চাইনিজ জাল ও ইলেকট্রনিক শক দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। এ সব পদ্ধতিতে মাছ ধরলে মাছসহ অন্য জলজ প্রাণী নির্বংশ হয়ে যায়।’ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্সে র‌্যাব নির্মিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে ওষুধ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে আমি মৎস্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, স্যার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। মন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, তিনি মৎস্যমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী নন। পানিসম্পদ মন্ত্রীকে বললে তিনি বলেন, এটি পরিবেশের বিষয়।‘

মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপ-মন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে আইজিপি বলেন, ‘প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রনালয় সভা করে ও আইনের পরিবর্তন করে সুন্দরবনে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা অনেক দিক দিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছি। আমরা আমাদের অর্জন নিয়ে অহংকার করতে পারি। কিন্তু সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে আমাদের কিছু একটা করা দরকার। সে বিষয়ে আপনারা একটি উদ্যোগ নেবেন বলে অনুরোধ।‘

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ডাকাতমুক্ত হওয়ার পর সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, হরিণের সংখ্যা বেড়েছে, পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পশু-পাখির পাচার বন্ধ হয়েছে। আগে বাঘ, হরিণ ও কুমিরের চামড়া পাচার হতো। এগুলো বন্ধ হওয়ার ফলে এখন সুন্দরবনে প্রচুর পরিমাণ পশু-পাখির বিস্তার ঘটেছে।’

ভালো সিনেমা হলে দর্শক আসবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘আমি দেখেছি, যখন ভালো সিনেমা হয়, তখন দর্শকের অভাব হয় না। ভালো সিনেমা হলে দর্শক পাবেন। ঢাকা অ্যাটাক সিনেমা দুঃসময়েও অনেক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘সিনেমা বানানো র‍্যাবের কাজ না। অপারেশন সুন্দরবন বানানোর কারণ, জাতি হিসেবে আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই। র‍্যাব তিন বছর ধরে যে অমানবিক পরিশ্রম করে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করেছে এ সিনেমা তার একটি প্রতিচ্ছবি। সুন্দরবনে এখন যে শান্তির সুবাতাস বইছে, কিছুদিন পরে মানুষ তা ভুলে যাবে। কিন্তু এ কাজে র‍্যাবের যে অবদান ছিল, তা ডকুমেন্ট হিসেবে তুলে ধরার জন্য এ সিনেমা তৈরি করা হয়েছে।’

 

আর্কাইভ