প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৭:৩৪ এএম
বাংলাদেশ চরমপন্থার মাটি নয় বার্তা দিয়ে একটি গবেষণা (থিসিস) প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান। শিগগিরই আন্তর্জাতিক একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে গবেষণাটি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। গবেষণাটি ড. মইনুল খানের পিএইচডি কোর্সের অংশ বিশেষ।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানিয়েছেন ড. মইনুল খান।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশিং, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম (পিআইসিটি) নিয়ে পিএইচডি করছেন তিনি। যার বর্তমান নাম সিকিউরিটি স্টাডিজ অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি।
গবেষণাটি নিয়ে ইতোমধ্যে তার পিএইচডি সুপারভাইজার প্রফেসর জুলিয়ান ড্রুগানের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। আর জুলিয়ান ড্রুগানের পরামর্শেই গবেষণাটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. মইনুল।
স্ট্যাটাসে ড. মইনুল লেখেন, আজকের দিনটি আমার জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ দিন ছিল। দীর্ঘদিন পর আমি আমার পিএইচডি সুপারভাইজার প্রফেসর জুলিয়ান ড্রুগানের সঙ্গে দেখা করেছি। প্রফেসর জুলিয়ান বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে সরকারি সফরে এসেছেন। ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে প্রফেসর জুলিয়ানের সঙ্গে যোগদান করেছি। যা আমার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।
এরপর তার গবেষণাটি নিয়ে ড. মইনুল লিখেন, আমার থিসিসটি বাংলাদেশের উপর একটি ইতিবাচক গল্প যা মূলত ইসলামি চরমপন্থার উত্থানকে রোধ করে। একই সঙ্গে এর মূল এবং গভীর মূল বিষয়গুলোকে খুঁজে বের করে। যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেমন পাকিস্তান, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে তুলনা করার সময় অনন্য হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এই থিসিসের বার্তাটি হলো বাংলাদেশ চরমপন্থার মাটি নয় - আমরা যা দেখি তা মূলত বাহ্যিক দিক, এর ভিতরকার নয়।
ড. মইনুল আরও লিখেন, ড. জুলিয়ান ড্রুগান আমার কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে একজন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রকাশক দ্বারা থিসিসটি প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি শিগিগরই এটা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ড. মইনুল তার পিএইচডি সুপারভাইজারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেন, এই মহৎ কাজের জন্য আমি ডা. জুলিয়ান ড্রুগান এবং ড. পিটার সিয়ারলের কাছে অনেক ঋণী। তাদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো।
এআরআই