• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

রেল ব্রীজের পিলারে ফাটল, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ১০:৩২ পিএম

রেল ব্রীজের পিলারে ফাটল, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

দেশজুড়ে ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ব্রীজ কালভার্ডের অধিকাংশ হয়ে পড়েছে ঝুকি পূর্ণ্য। একই সাথে পাবনার ভাঙ্গুরার বাউনজান এলাকার ২৫ নাম্বার রেল ব্রীজের অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে ৪২টি ট্রেন (২১টি ট্রেন য়ায় এবং ২১টি ট্রেন আসে)।

বৃটিশ আমলে তৈরী মেয়াদ উত্তির্ণ এসব ব্রীজ ও কালভার্ড পার করেছে শতবছর। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে পুরোনো হলেও ঝুকিপূর্ণ নয় এই রুটের রেলসেতু।

 ইতিমধ্যে ২৫ নাম্বার রেল ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ব্রীজের নিচে বন্যার পানি থাকায় সংস্কার কাজ সাময়িক স্থগিত রয়েছে। বন্যার পানি সরে গেলে পুনরায় সংস্কার করা হবে এই সেতু।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঈশ্বরদী রেলপথের ২৫ নাম্বার রেলসেতু প্রায় ১২০ বছর আগে বৃটিশ শাসনামলে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সিমান্ত এলাকা নির্মিত হয়। চলনবিলের একটি শাখা নদীর উপর নির্মিত ২৫ নাম্বার সেতুর সবক’টি পিলারে রয়েছে একাধিক ক্ষত। একটি পিলারে ইট সরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভারবহনে পিলারের দুই পাশে লোহার এ্যঙ্গেল দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। সেতুর পিলারে ইটের গাঁথুনিতে ফাটল দেখা দেয়ায় ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। ঝুকি এড়াতে লাল পতাকা উড়িয়ে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে ট্রেনের গতি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায় ১০৫ বছরের স্থায়িত্বকাল ধরে নির্মিত এই সেতুটি মেয়াদ উত্তির্ন হয়েছে প্রায় ১৫ বছর আগে। সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনার গফুরাবাদ পর্যন্ত ৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নিয়ন্ত্রন করে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে।

প্রতিদিন এই রেলপথ দিয়ে আসা যাওয়া করে ৪২টি ট্রেন। ২৫ নাম্বার সেতুটি ঝুকিপূর্ণ্য হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এই রেলপথে। প্রত্যন্ত বিল লে সেতুর দুই পাড়ে ট্রেন দাঁড় করানো দেখা দেয় জীবনের ঝুকি।

সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুর রহমান বলেন, ২৫ নাম্বার ব্রীজের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ট্রেন পড়ে যাওয়ার মতো ঝুকিপূর্ণ্য নয়। সংস্কার কাজের জন্য ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্র করা হচ্ছে। যেখানে কাজ চলমান থাকে সেখানেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্র করা হয়। কারন প্রচুর পরিমান শ্রমিক এখানে কাজ করে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কারনে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্র করা হয়। এখানে দুর্ঘটনা ঘটার কোন সম্ভবনা নাই। সব কিছু্ই ভাল আছে। বন্যার মৌসুম শেষ হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।

সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, প্রত্যেকটি ট্রেন ২৫ নাম্বার পিলারের কাছে এসে ১-২ মিনিট স্লো করে। স্লো করার কারনে ২৫ নাম্বর ব্রীজ এলাকায় রাতে টহল পুলিশের ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল বলেন, ২৫ নাম্বার ব্রীজটি আমাদের নজরদারীতে আছে। ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ্য ভেবেই আমরা সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এখন যে পর্যায়ে আছে তা ঝুকিপূর্ন্য নয়। ব্রীজের নিচে বন্যার পানি রয়েছে। যে কারনে সংস্কার কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। পানি সরে গেলে কাজ শুরু হবে।

আর্কাইভ