• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০৩:৪৩ এএম

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো নষ্ট করতে দেয়া হবে না। পুরোটা নিয়েই এটা পূর্ণ সংস্কার, সংরক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বড় ও ছোট কাটরা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠী-স্বার্থান্বেষী মহল এটা দখল করেছে, ভেঙে ফেলেছে, নষ্ট করেছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো নষ্ট করতে দেয়া হবে না। পুরোটা নিয়েই এটা পূর্ণ সংস্কার, সংরক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার একটি বৃহত্তম অংশ বড় কাটারা ও ছোট কাটারা। গত পরশু দিন পত্রিকায় দেখলাম, সেই বড় কাটরার একটি অংশ এক ব্যক্তি ভেঙে ফেলছে। সেটা দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। আর কোনো অংশ যাতে ভাঙা না হয় সেই জন্য সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্থাপনাটি সিলগালা করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরে তিনি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘এটা মোগল শাসনামলে মীর আবদুল কাশেম এবং শায়েস্তা খান নির্মাণ করেছেন। পরবর্তীতে এটা সরকারের হাতেই ন্যস্ত হওয়ার কথা। হয় জেলা প্রশাসনে ন্যস্ত হবে, না হলে সিটি করপোরেশনে ন্যস্ত হবে। না হলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অথবা গণপূর্তের অধীনে ন্যস্ত হবে। এটা সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু হয়তোবা সরকারি সংস্থার অবহেলায় কিংবা এদিকে নজর না দেয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠী-স্বার্থান্বেষী মহল এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপলব্ধি তো সবার মাঝে থাকতে হবে। এগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ঢাকার কিন্তু আর কোনো পরিচিতি থাকবে না। ঢাকার আর কোনো সত্ত্বা থাকবে না। সুতরাং এগুলো যেভাবেই হোক, যত বড় স্বার্থন্বেষী মহলই থাকুক না কেন, এটা সংরক্ষণ করা হবে।

মেয়র তাপস বড় কাটরা এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের অবগত করেন। এর আগে মেয়র তাপস কাঁচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আগামি ২ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের বাস যাত্রীদের প্রাথমিক যাত্রীসেবা দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন ও খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জেডআই/এএল

আর্কাইভ