প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০২:৫১ এএম
দেশে
বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল এবং ১৮ দিনের অকটেন ও পেট্রোল মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। বুধবার (১০
আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিপিসির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য
জানান তিনি।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ১১টি উন্নয়ন
প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। মুনাফার একটি অংশ বিপিসি
প্রকল্পের নামে জমা রেখেছে। বিপিসির পেমেন্টগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অন্তত ২০ হাজার
কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি পর্যবেক্ষণ
করছিল বিপিসি। এফডিআর ভেঙে ভেঙে তেল কিনেছে সরকার। তেল সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্যই এসব
ব্যবস্থা। প্রকল্পের টাকা এনে তেল কেনার কারেন্ট অ্যাকাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে।
এ বি এম আজাদ বলেন, প্রকল্পের জন্য
বরাদ্দ করা টাকা সরাতে সরাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে এখন ১৯ হাজার কোটি টাকায়
এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আগস্টের
প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এক্ষেত্রে
লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে।
অকটেনে ২৫ টাকার মতো
বিপিসির লাভ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, বিপিসির টাকা দিয়ে কয়েক মাস চললে তেলের দাম
বাড়াতে হতো না। এটা ঠিক নয়। আমরা এফডিআরের টাকা দিয়েই তেল আমদানি করেছি।’
বিপিসির এক্সটার্নাল অডিট
অন্তত দুটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৩০
দিনে ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল
এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার
দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয। প্রতি লিটার ডিজেল ও
কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আর অকেটন প্রতি লিটার ১৩৫
ও পেট্রোল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম
কার্যকর হয়।
জেডআই/