• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা জানালেন মন্ত্রীপত্নী

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২, ০১:১৩ এএম

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা জানালেন মন্ত্রীপত্নী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট করতে যেয়ে নিজের অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহধর্মিণী আরিফা জেসমিন কনিকা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ’র ক্যামেরায় তোলা ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার কথা উল্লেখ করে মৃদু রসিকতার ভঙ্গিমায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোমবার (১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে করা এক পোষ্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার ১০ বছর মেয়াদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত মার্চ মাসে। লাইসেন্স রিনিউ এর আবেদন করার পরে একটা টেম্পোরারি পেপার দিয়ে বলেছিল আপাততঃ এটা দিয়ে কাজ চালান। মোবাইলে এস এম এস গেলে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট হলে তখন স্মার্ট কার্ড পাবেন। আজ সকালে SMS পেয়ে গিয়েছিলাম Biometric enrollment এর জন্য। উনাদের ক্যামেরায় ছবি যা আসে তাতে তো নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার সময় অনেক চেষ্টা করেও তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে পারছিল না। হেক্সিসল দিয়ে হাত পরিষ্কার করেও হলো না। স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালো করে স্যানিটাইজ করেও হলো না! একজন তো বলেই ফেলল ম্যাডাম কাজ করতে করতে আপনার হাতের করগুলো সব সমান হয়ে গেছে, এজন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট আসছে না। আমি আবার কাউকে সহজে অবিশ্বাস করতে পারি না। নিজের দুইহাত মেলে নিজেও দেখলাম উনাদের কে ও দেখালাম।’



পোষ্টে মন্ত্রীপত্নী আরো লেখেন, ‘গতবছর ভিসার জন্য যখন আবেদন করেছিলাম তখন হাত যেমন ছিল এখনও তো তেমনি আছে বলে মনে হচ্ছে। মাঝখানে একবার করোনা হয়েছিল। করোনায় মনে হয় আমার হাতের রেখা টেখা সব ভিতর থেকে মুছে দিয়েছে যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না! উনারা শুনে মনে হয় সামান্য চিন্তিত হলেন। মেশিন বারবার অন অফ করে, রিকানেক্ট করে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ কিছুই হলো না। আমি বললাম আপনাদের সার্ভারের সমস্যা কিনা দেখেন। উনারা বললেন অন্য বুথগুলোতে কাজ চলছে। আমি বললাম যে মেশিনে কাজ চলছে সেটা নিয়ে আসেন। উনারা আনলেন এবং সমস্যার সমাধান হলো। আর একটু হলেই আমার হাতদুটো গিয়েছিল! বিরাট বাঁচা বেঁচেছি!’

এসএ/
আর্কাইভ