• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

জনশুমারির সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চায় সংসদীয় কমিটি

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২, ০৪:৪৮ এএম

জনশুমারির সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চায় সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ২০ লাখ ডলারের সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়কে পরবর্তী বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে ব্যবহৃত বিদেশি সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করে করেছে কমিটি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জনশুমারিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কিনতে প্রায় ২০ লাখ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪০ টাকা) খরচ হয়েছে বলে মৌখিকভাবে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান। তারা বলেনকমিটি জানতে চেয়েছেএই সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছেদেশি প্রতিষ্ঠান আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে কি নাএসব বিষয় বিশদে বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন।

মাঠ পর্যায়ে গণনাকারীদের জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করা হয়। ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে যাতে সব তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনো খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না। দেশে এবারই প্রথম জনশুমারি ডিজিটালি করা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছেএ ধরনের কোনো দেশীয় প্রযুক্তির সফটওয়্যার নেইএ কারণে পরিসংখ্যান ব্যুরো বিদেশি সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে। আইসিটি সংক্রান্ত কাজের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজ সিলেকশন’ পদ্ধতিতে কোম্পানি নির্বাচন করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার কিনতে খরচের পরিমাণ ২০ লাখ ডলার।

সংসদীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রকল্প গ্রহণ/বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি সনদ (এনওসি)কার্য বিধিমালা (রুলস অব বিজনেস) ও অ্যালোকেশন অব বিজনেস সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা নেওয়ার আগে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়তখন হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে তা করা হয় না। আগের তথ্য মাথায় রেখে করা হয়। কমিটি বলেছেহালনাগাদ তথ্য না থাকলে প্রকল্পের ফল আশানুরূপ আসবে না। সঠিক তথ্য না থাকলে তো কাজটাই ঠিকঠাক হবে না।

উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের সময় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে রেখে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেনতাঁরা দেখতে চান উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ুর বিষয়টি কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রজেক্টের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য বলা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানরফিকুল ইসলামসাবের হোসেন চৌধুরীহাফিজ আহমদ মজুমদারবীরেন শিকদার এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা।

জেডআই/

আর্কাইভ