প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিরা সবাই অপরাধী বলে মন্তব্য
করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত
সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন
তিনি।
বিএসএফ মহাপরিচালকের দাবি, নিহতদের সবাই
মাদক কারবারি, চোরাকারবারি। আর
প্রত্যেকটা গুলির ঘটনাই রাতে ঘটেছে।
'সীমান্তে হত্যার শিকার ব্যক্তিদের কিসের
ভিত্তিতে অপরাধী বলছেন। তাদের শরীরের ওপরের অংশে গুলি লাগার পরও কেন এটা টার্গেটেড
কিলিং নয়'? এমন প্রশ্নের
জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ‘জুডিশিয়াল সিস্টেমে কোনো অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তো
আমরা কাউকে অপরাধী বলতে পারি না। আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি, কলকাতা পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান প্রদান করি । দুই
দেশের সীমান্তে চোরাকারবারে জড়িত মাফিয়ারা।’
তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশের
সীমান্তবর্তী দুই এলাকাতেই ভালোমন্দ মানুষ আছেন। তাদের কারণে সীমান্তে অপরাধ
সংঘঠিত হয়। তাদের কারণেই চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে। গরু পাচার, শিশু ও নারী
পাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেন।
পঙ্কজ কুমার সিং আরও বলেন, প্রথমে আমরা নন
লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করি। যাতে প্রতিরোধে মরণঘাতী না হয়। ৮৯ বিএসএফ সদস্য
সীমান্তে অপরাধীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)
সঙ্গে সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যৌথভাবে
সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে কাজ করছি।
প্রতিবার সীমান্ত
সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয়। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। গত
জুন মাসে সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচজন। এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ
মহাপরিচালক বলেন, এ প্রশ্ন
প্রতিবছরই শুনতে হয়। বিজিবি ও বিএসএফ খুবই পেশাদার বাহিনী। তবে আমাদের সঙ্গে
বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়েও আলাদা। আমরা প্রতিনিয়তই
বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে থাকি, কীভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায়।
এর আগে সম্মেলনে স্বাগত
বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ
অভ্যর্থনা জানিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এই সুসম্পর্ক ও
পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেডআই/