প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০৩:৪০ এএম
বেসরকারি পর্যায়ে ১২৫
প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৪৬ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি
দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল দুই লাখ ৪ হাজার টন এবং ৪২ হাজার টন আতপ
চাল।
সোমবার (৪ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সংগ্রহ শাখা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালকে চিঠি দেওয়া হয়।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, নিন্মোক্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বরাবরে ছকে উল্লেখিত পরিমাণ নন-বাসমতি সিদ্ধ ও আতপ চাল শর্ত সাপেক্ষে আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।
বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।
বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভর বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।
এ প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামলো।
নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ শুল্ক ছাড়ের অনুমোদন পেতে আমদানিকারককে অবশ্যই খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে এনবিআর।
কমানো শুল্কহারে চাল আমদানির জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।
জেডআই/