প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২১, ০৯:১৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সব
সময় বলতেন ৬ দফা মানেই
এক দফা। অর্থাৎ স্বাধীনতা।
আর ঐতিহাসিক ৬ দফার ভেতরেই
স্বাধীনতার এক দফা নিহিত
ছিল।
সোমবার
(৭ জুন) সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক
৬ দফা দিবস উপলক্ষে
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও
বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা’ শীর্ষক
বিশেষ অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণকৃত ভাষণে তিনি এসব কথা
বলেন।
কারাবন্দি
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি এবং ৬ দফার
দাবিতে আন্দোলন করতে ১৯৬৬ সালের
৭ জুন শহীদের কথা
স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি
বলেন, ‘এই ৭ই জুনে
রক্তের অক্ষরে এই ৬ দফা
দাবির কথা লিখে গিয়েছিল
বলেই এই ৬ দফার
ভিত্তিতে নির্বাচন এবং আমাদের যুদ্ধে
বিজয়। আমরা স্বাধীনতা অর্জন
করি।’
তিনি
আরও বলেন, সেই হরতালে অনেক
মানুষকে তারা হত্যা করেছে।
১১ জন সেখানে জীবন
দেন। রক্তের অক্ষরে ৬ দফা তারা
লিখে যায়, আর যে
৬ দফার ভিত্তিতে ’৭০-এর নির্বাচন হয়
সেই নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন
পায়, যেটা পাকিস্তানিরা কোনো
দিনই আশা করেনি।
এরপর
অসহযোগ আন্দোলন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ
দেন। অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিপ্লব,
সশস্ত্র বিপ্লব থেকে বিজয় অর্জন
আমরা করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান তার ছাত্রজীবন থেকে
এদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
বাঙালি জাতি একটা উন্নত
জীবন পাবে, সুন্দর জীবন পাবে এটাই
তার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি সেটাই
চেয়েছিলেন। তার সব সময়
চিন্তা ছিল কীভাবে এ
জাতিকে দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে
মুক্তি দেবেন, ক্ষুধা-শোষণ-বঞ্চনা থেকে
মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত
জীবন দেবেন।
তিনি
বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালি
জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে চিন্তা-চেতনাগুলো তার (বঙ্গবন্ধু) ভেতরে
লালিত ছিল, সেটাই প্রতিফলিত
হয়েছিল ৬ দফা প্রণয়নের
মাধ্যমে। আর সেটার আরও
সুযোগ এসে গেল ১৯৬৫
সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মধ্য
দিয়ে। যখন দেখা গেল
এই ভূখণ্ডের মানুষ সম্পূর্ণভাবেই নিরাপত্তাহীন, সেই সময় তিনি
এই ৬ দফা দাবি
উত্থাপন করেন।
নূর/এম. জামান