প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম
সাবেক
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও তৎকালীন সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন
ভূঁইয়াকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতুর ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। উদ্বোধনী মঞ্চে সৈয়দ আবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম
করেন। প্রধানমন্ত্রীও তার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন।
আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তখন তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। যদিও পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে সেতু উদ্বোধন করতে হেলিকপ্টারে পদ্মার মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।
সকাল ১০টায় সভামঞ্চে পৌঁছান তিনি। এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে রওয়ানা দেন শেখ হাসিনা।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেখানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন। এর পর টোলপ্লাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন।
সড়কপথে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।
সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। দুপুরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন।
দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২-এর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। পরে জাজিরা প্রান্ত থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করবেন।
জেডআই/