প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২, ০৫:৩৪ পিএম
সপ্তাহের
ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে
শুকনো মরিচ, ভোজ্য তেল, মাছ ও মুরগির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে
মাংস-ডিমের বাজার। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র
দেখা গেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এ দিন সকাল থেকেই বাজারে ভির জমায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পুরো সপ্তাহের বাজার করাই তাদের লক্ষ্য।
বাজারে সবজি মাঝারি দামে বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০, করলা ৬০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৪০, বটবটির কেজি ৫০ ও ধুন্দুলের কেজি ৪০ টাকা।
রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো আছে। এ কারণে সবজির দাম কম।
এ সব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে, কেজি ৪০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বাজারে রসুনের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে কেজি ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
মুগদা বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে পেঁয়াজ রসুনের আমদানি ভালো থাকায় ক্রেতাদের চাহিদাও কম। একারণেই দাম কমেছে।
দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা; ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা, বড় সাইজের বোয়াল ৭০০ টাকা, ছোট সাইজের বোয়াল ৫০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, ৩ কেজি ওজনের দেশি রুই ৫৫০ টাকা, ছোট রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৫০-৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে মাছের বাজার কিছুটা চড়া রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিউ মার্কেটের পাইকারি বাজারের ১২-১৫টি মাছের ট্রাক আসত। আজ এসেছে মাত্র ৫টি। সরবরাহ কম থাকায় দামটাও একটু বেশি।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
বাজারে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। প্রতিলিটার তেলে ৭ টাকা দাম বেড়েছে। তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকার। এক সপ্তাহ আগে ১৯৮ টাকা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হয়েছে।
শাহজানপুর বাজারের মুদি দোকানি কামরুল ইসলাম বলেন, বাজারে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করছি। প্রতি লিটার তেল বিক্রি করছি পাইকারি ২০৩ টাকা ও খুচরা ২০৫ টাকা।
এ সব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
মুরগী বিক্রেতা হেলাল বলেন, মুরগির বাজার গত সপ্তাহের মতো কমই আছে। তবে আগামী সপ্তাহে দাম বাড়তে পারে।
জেডআই/এএল