• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২১, ১০:৩৯ এএম

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার

তরিকুল ইসলাম সুমন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে জোড়পূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া, দিনমজুর থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়া, অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে চলে যাওয়া, ক্যাম্পে অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজ বন্ধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদফতরের উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা গত সোমবার (৩১ মে) বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ২৭২ জনে। 

তিনি বলেন, বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার এবং ইউএনএইচসিআরের কর্মীরা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের কাজ করছেন। উখিয়া ও টেকনাফে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রথমে সাতটি শিবিরের মাধ্যমে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে বর্তমানে তিনটি শিবিরে কাজ চলছে। সেগুলো হলো- উখিয়ার কুতুপালং, থাইংখালী ও টেকনাফের নয়াপাড়া।

অপরদিকে ভাসানচরে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া এ জায়গায় চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। কেউই অনুমছি ছাড়া যাওয়া-আসা করতে পারবে না। ‘ভাসানচর বিচ্ছিন্ন এলাকা। কিন্তু সেখানে প্রতিদিনই বহুসংখ্যাক নৌযান যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এসব বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো নাগরিকই বিনা অনুমতিতে সেখানে যেতে পারবে না। যাতায়াতের যেসব বাহন আছে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানসম্মতভাবে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা চেয়ে বিক্ষোভ করেছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা থাকে না। তাদের চিকিৎসা, থাকা, খাওয়া, পরার যা দরকার তা শতভাগ সরকার নিশ্চিত করবে। ‘যারা কক্সবাজার বা অন্য এলাকায় রয়েছে তারা মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারদিকে ওয়াল নির্মাণের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হবে। অবৈধ কর্মকাণ্ড যাতে বন্ধ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তরিকুল/এএমকে

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ