• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

মামার সম্পত্তি দখলের জন্যই খুন করে ভাগ্নে

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২১, ০১:৪১ এএম

মামার সম্পত্তি দখলের জন্যই খুন করে ভাগ্নে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বগুড়ার শিবগঞ্জের বাসিন্দা শাহিন (৪০)। ২০১৭ সালের ১০ জুন কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর আর বাসায় ফিরেননি শাহিন। তার খোঁজ নিতে থাকেন স্ত্রী। কিন্তু কোথাও তার হদিস মিলছিল না।

নিখোঁজের একদিন পর অর্থাৎ ১১ জুন বগুড়ার কাহালু উপজেলার আখতার বুলুর বাড়ির টিউবওয়েলের সামনে থেকে শাহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শাহিনের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে থানা-পুলিশ।

মামলা হওয়ার প্রথম আড়াই বছর চলে গেলেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি থানা–পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে শাহিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তদন্ত নামে পিবিআই'র একটি দল। দীর্ঘ চার বছর পর শাহিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

শাহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রিপন নামে একজনকে শনাক্ত করে পিবিআই। গত বুধবার (২ জুন) তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে রিপন। এমনকি হত্যায় তার সহযোগীদের কথাও জানান তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আবুল কালাম আজাদ ওরফে তারা মিয়া, সোহরাব হোসেন ও আনিছুর রহমান গ্রেফতার করা হয়।

মামা আখতার বুলুকে ফাঁসিয়ে তার সম্পত্তি ভোগ দখলের জন্যই ভাগ্নে রিপন এ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

পিবিআই বগুড়া জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, মামা আখতার বুলুর ৯ বিঘা সম্পত্তি দখলে নিতে পূর্বপরিকল্পনা করে শাহিনকে খুন করে ফাঁসিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে ভাগ্নে রিপন। শাহিনকে ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করে লাশ আখতারের বাড়ির উঠানে ফেলে দেয়া হয়। মূলত আখতার বুলুকে ফাঁসাতেই লাশটি সেখানে রাখা হয়। খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে রিপন।

পিবিআই বলছে, নিহত শাহিন মাদকাসক্ত ছিলেন এবং ছোটখাটো চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গরু চুরির কথা বলে শাহিনকে সেদিন রাত ২টায় পাঁচিল টপকিয়ে আখতার বুলুর বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এএএম
আর্কাইভ