• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

মিরপুরে স্ত্রীর কবরের পাশে শায়িত হবেন গাফ্‌ফার চৌধুরী

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২২, ০৪:০৩ পিএম

মিরপুরে স্ত্রীর কবরের পাশে  শায়িত হবেন গাফ্‌ফার চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অমর একুশের গানের রচয়িতা, প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, গাফ্‌ফার চৌধুরী ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত প্রায় তিন মাস তিনি বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শেষ শ্রদ্ধা জানানো ও দাফনের জন্য বাংলাদেশে আনা হবে একুশের গানের রচয়িতা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ।

বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নে লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, গাফ্‌ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইন মসজিদে গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা হবে।

ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ‘বাতিঘর’ গাফ্‌ফার চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কে রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান হাইকমিশনার।

লন্ডনে এসব কার্যক্রম শেষ করে বাংলাদেশ বিমানের কার্গো ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে জানান মুনা তাসনীম।

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ’সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ আগামী সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

দেশে ফেরানো হলে ভাষাসংগ্রামী আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বলে জানান হাইকমিশনার।

বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলের সাক্ষী আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার ভোরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান।

উল্লেখ্য, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তার প্রথম গল্প ছাপা হয় সওগাত পত্রিকায়। পরে দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক সংবাদ, মাসিক সওগাত, মাসিক নকীব পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাক-এ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জয় বাংলা, যুগান্তর ও আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেন।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেস্কো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মানিক মিয়া পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফ্‌ফার চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।


এফএ/এএল
আর্কাইভ