নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রাইস ব্রান ও সরিষা উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন রাইস ব্রান (ধানের কুঁড়া) ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন উৎপাদন হয়। এটিকে সাত লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটি করতে পারলে মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্রান ভালো। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সরকারের বিভিন্ন দফতদরের প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গম আমদানির ৬৪ শতাংশ আসে ভারত থেকে। দেশটি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা বাংলাদেশের জন্য পুরোপুরি প্রযোজ্য হবে না। তা ছাড়া এ মুহূর্ত দেশে গমের যে মজুত, তাতে ভয়ের কিছু নেই।’
তেলের দাম প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সাত লাখ টন রাইস ব্রান তেল উৎপাদন সম্ভব। তাই আমদানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে সরকার রাইস ব্রান তেলের উৎপাদনের দিকে নজর দিচ্ছে। সেটা হলে ২৫ শতাংশ তেলের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্রান ভালো। শরীরের জন্যও উপকারী। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।’
ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় গত বছর থেকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভোজ্য তেলের দাম বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুতে দাম কমে যুদ্ধের প্রায় আগের অবস্থার কাছাকাছি চলে আসে। তবে এই ধারা বেশি দিন থাকেনি। এপ্রিলের শেষে বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর বিশ্ববাজারে পাম ও সয়াবিনের দামের আগের সব রেকর্ড ভেঙে যায়।
এফএ/এএল
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
